প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

অত্র প্রতিষ্ঠানটি পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার ২নং কদমতলা ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৪ সালে দাখিল মা দ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অতি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। এটি ১৩ জন সুযোগ্য শিক্ষকবৃন্দ ও অন্যান্য স্টাফ দ্বারা পরিচালিত। প্রতিষ্ঠানটির পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক।অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ও কর্মরত থেকে দেশ ও জাতির সেবায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে।

অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার জনাব মো: আ: সালাম গত ০১/০৪/১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে অদ্যবধি সুনামের সাথে মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। মাদ্রাসা পরিচালনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের উত্তম ফলাফল নিশ্চিতকরণে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মাদ্রাসার উন্নতি ও অগ্রগতিতে রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য অবদান। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জনাব কাজী রেজাউল করিম। তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজ সেবক।সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন।

প্রতিষ্ঠান প্রধানের বানী

image-not-found

সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষা। শিক্ষা অর্জন একটি চলমান প্রক্রিয়া।এ প্রক্রিয়া চলমান রাখার জন্য প্রয়োজন জাতীয় জীবনে নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠাকল্পে শিক্ষার্থীদের মননে, কর্মে ও ব্যবহারিক জীবনে উদ্দীপনা সৃষ্টি করা। তাদের চরিত্রে সুনাগরিকের গুণাবলির যেমন: ন্যায়বোধ, অসাম্প্রদায়িক-চেতনাবোধ, কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, অধ্যবসায় ইত্যাদি বিকাশ ঘটানো। শিক্ষাকে অধিকতর ফলপ্রসূ করতে শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনা ও সৃজনশীলতার উজ্জীবন এবং তার জীবনঘনিষ্ঠ জ্ঞান বিকাশে সহায়তা করা ও দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সাধনের জন্য শিক্ষাকে সৃজনধর্মী, প্রয়োগমুখী ও উৎপাদন সহায়ক করে তোলা; শিক্ষার্থীদেরকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশে সহায়তা করা।জাতি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে আর্থসামাজিক শ্রেণি-বৈষম্য ও নারী পুরুষ বৈষম্য দূর করা, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও মানুষে মানুষে সহমর্মিতাবোধ গড়ে তোলা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলা। শিক্ষাকে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পণ্য হিসেবে ব্যবহার না করা।গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ বিকাশের জন্য পারস্পরিক মতাদর্শের প্রতি সহনশীল হওয়া এবং জীবনমুখী বস্তনিষ্ঠা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সহায়তা করা।মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে বিকশিত চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি এবং অনুসন্ধিৎসু মননের অধিকারী হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করা।তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি এবং সংশিষ্ট অন্যান্য (গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি) শিক্ষাকে যথাযথ গুরত্ব প্রদান করা।শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ-সচেতনতা এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা। এ লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক উন্নয়ন কার্য্যক্রম হাতে নিয়েছেন। উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

সভাপতির বাণী

image-not-found

ভোরা দাখিল মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে পিরোজপুর উপজেলার অন্যতম একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে যা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।